? ১. দিনে বেশি করে পানি খাওয়া
খালি পেটে ১-২ গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করুন। খাওয়ার আগেও এক গ্লাস পানি পান করলে খিদে কমে। অনেক সময় আমরা পানি কম খাই। অথচ পানি খেলে হজম ভালো হয়, খিদেও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি খাওয়া খুব দরকার।
?♀️ ২. একটানা বসে না থেকে একটু-একটু নড়াচড়া
ঘরে থাকি বা বাইরে—চেষ্টা করো একটানা না বসে থাকতে। ঘরের কাজ করলেও, বাজারে গেলেও, বা ছাদে কিছুক্ষণ হাঁটলেও শরীর হালকা থাকে।
? ৩. খাওয়ার পরিমাণ বুঝে খাওয়া
খাবার বাদ দিতে হবে না, কেবল একটু পরিমাণে নজর দিতে হবে। যতটুকু দরকার, ততটুকুই খেলে শরীর নিজের মতো ঠিক রাখতে পারে।
? ৪. বাইরের খাবার একটু কমিয়ে আনা
ভাজাভুজি, সফট ড্রিংক—এসব মাঝে মাঝে খাওয়া ভালো, কিন্তু রোজ হলে শরীর ভারী হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে ১-২ দিন খেলেও, বাকি সময়টা ঘরোয়া খাবার খাওয়ার চেষ্টা করো।
? ৫. ঘুম ঠিক রাখা
রাতে ঠিকঠাক ঘুম না হলে ওজন বেড়ে যেতে পারে—এটা অনেকেই জানে না। দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার, এতে শরীর নিজেই ঠিকভাবে কাজ করে।
⏰ ৬. একসঙ্গে অনেক না খেয়ে দিনে ৩-৪ বার ভাগ করে খাওয়া
একবারে পেট ভরে খাওয়ার চেয়ে দিনে কয়েকবার ছোট ছোট মিল খাওয়া অনেক ভালো। এতে পেটও ভারি লাগে না, আবার খিদেও কমে যায়।
? ৭. ঘুম ঠিক করুন
রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
কেন কাজ করে:
ঘুম ঠিক না থাকলে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, ফলে ক্ষুধা বেড়ে যায়।
? ৮. স্ন্যাক্সে বুদ্ধি খাটান
চিপস, চকোলেট বাদ দিয়ে খান বাদাম, ফল, দই।
কেন কাজ করে:
হেলদি স্ন্যাক্স খেলে খিদে মিটে, কিন্তু ফ্যাট জমে না।
?️৯. প্লেট কৌশল ব্যবহার করুন
প্লেটের অর্ধেক অংশে রাখুন সবজি, এক-চতুর্থাংশ প্রোটিন, বাকি অংশে কার্বোহাইড্রেট।
কেন কাজ করে:
এই কৌশলে আপনি বেশি পরিমাণে না খেয়ে পরিমিত খেতে পারেন।
? আরও কিছু টিপস:
রান্নায় কম তেল ব্যবহার করো
ফল-সবজি রাখো প্রতিদিনের প্লেটে
খাওয়ার সময় মোবাইল বা টিভি বন্ধ রাখো
নিজেকে দোষ দিও না, বরং নিজের যত্ন নাও
✨শেষ কথা
শরীর কারও একরকম হয় না। তুমি যেমন আছো, ভালো আছো। কেবল নিজের ভালোর জন্যই কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার চেষ্টা করো। দেখবে ধীরে ধীরে নিজের মধ্যে একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস আসবে।
তুমি কারও মতো হতে যাবে না, তুমি হও নিজের সেরা ভার্সন।