?? জেন Z কে বলা হয় “ডিজিটাল নেটিভ”
জন্ম থেকেই স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, ইউটিউব আর সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বেড়ে ওঠা এই প্রজন্ম তথ্য সংগ্রহ, আইডিয়া তৈরি এবং দ্রুত বাস্তবায়ন– সব কিছুতে পারদর্শী। তাই তারা সহজেই:
সমস্যা চিহ্নিত করতে পারে
প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাধান খুঁজে পায়
ঝুঁকি নিতে ভয় পায় না
? স্টার্টআপ মানে শুধু অ্যাপ বানানো নয়
আজকের তরুণেরা ক্লাসিক ব্যবসার নতুন ভার্সন তৈরি করছে—যেমন:
Pathao: শুধু রাইড শেয়ার না, এটা এখন সুপার অ্যাপ হওয়ার পথে
10 Minute School: অনলাইনে শিক্ষাকে সবার হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে
iFarmer, Shajgoj, ShopUp: কৃষি, বিউটি, বা ফিনান্স—সব খাতেই নতুন উদ্ভাবন
Sheba.xyz: ঘরের সেবা থেকে শুরু করে স্মার্ট শহরের পথে যাত্রা
এই স্টার্টআপগুলো সমাজে বাস্তব পরিবর্তন আনছে—তাও একেবারে দেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে।
? প্রযুক্তি হলো তাদের শক্তি
AI, ডেটা অ্যানালিটিক্স, ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স — Gen Z এগুলোকে শুধু জানে না, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করে। তাই তাদের স্টার্টআপগুলো:
দ্রুত স্কেল করতে পারে
আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে সক্ষম
স্থানীয় সমস্যার গ্লোবাল সমাধান দিতে পারে
? শুধু লাভ নয়, Purpose-Driven চিন্তা
Gen Z এর একটা বড় বৈশিষ্ট্য হলো: তারা সমাজ পরিবর্তনের কথা ভাবে।
তারা ব্যবসার পাশাপাশি চায়:
পরিবেশবান্ধব সমাধান
নারীর ক্ষমতায়ন
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন
এই ভিশন-ভিত্তিক কাজের মাধ্যমেই তারা নতুন নিয়ম তৈরি করছে।
? চ্যালেঞ্জও আছে, তবে থেমে নেই
হ্যাঁ, বাস্তবতা কঠিন:
ফান্ডিং পাওয়া কঠিন
সরকারী নীতিমালা সব সময় সহায়ক নয়
পরিবার ও সমাজের চোখে "বিপজ্জনক" পথ
তবু তারা লড়ে যাচ্ছে। একদল স্টার্টআপার রাত জেগে কোড লেখে, আরেক দল ক্লায়েন্ট মিটিংয়ে দৌড়ায়। এই সংগ্রামই একদিন বদলে দেবে পুরো দেশের ভবিষ্যৎ।
✅ উপসংহার
জেনারেশন Z শুধু ব্যবসা করছে না—তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ছে।
তাদের স্টার্টআপ মানে শুধু টাকার চিন্তা নয়, বরং প্রভাব, উদ্দেশ্য আর উদ্ভাবন।
বাংলাদেশের প্রতিটি তরুণ-তরুণী যেদিন নিজেকে সমস্যার সমাধানদাতা ভাবে, সেদিনই একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে ওঠে।